পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীকে চিঠি দিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ঢাকাকে নয়াদিল্লির সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গত শুক্রবার ওই চিঠিতে সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ‘সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের’ প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
গত ১ জুলাই শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস হামলার দায় স্বীকারের পাশাপাশি হামলাকারীদের ছবিও প্রকাশ করে বলে খবর আসে। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা জানায় ভারত। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুইজনই হামলার নিন্দা জানান। নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তার চিঠিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সুষমা স্বরাজ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে এ ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
চিঠিতে বলা হয়, শোকের এই সময়ে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে আছে। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলয়ে কাজ করব। ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের আদর্শের হুমকি থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে। সব পর্যায়ের সন্ত্রাস মোকাবেলায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার, বলেন তিনি।
গুলশান হামলার প্রসঙ্গ তুলে সুষমা বলেন, এমন অমানবিক সহিংসতা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে যখন সত্যিকারের বিশ্বাসীদের মন আধ্যাত্মিক জগতের সন্ধানে থাকে। সন্ত্রাসীদের যে কোনো ধর্ম ও বিশ্বাস নেই- গুলশান হামলা সে প্রমাণও দিয়েছে মন্তব্য করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ওই ধরনের ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সরকার দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলেই ভারত বিশ্বাস করে।
এদিকে গুলশান হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকালে নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের আড়াইশ মিটার দূরে পুলিশের ওপর বোমা হামলার এই ঘটনায় দুই কনস্টেবল নিহত হন। পরে গোলাগুলির মধ্যে বাড়ির জানালা দিয়ে গুলি ঢুকে কেড়ে নেয় স্থানীয় এক গৃহবধূর প্রাণ। হামলার পর পুলিশের অভিযানের মধ্যে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীও নিহত হন, যার ঢোলা পোশাকে অস্ত্র রাখার ‘বিশেষ পকেট’ থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।